বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ আগস্ট, ২০২৫, 11:11 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ আগস্ট, ২০২৫, 11:11 PM
বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
আগারগাঁওয়ের জাতীয় আর্কাইভস মিলনায়তনে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম, ঢাকার ২০২৫-২০২৬ সালের নবনির্বাচিত উপদেষ্টা ও কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহত্তর কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার কর্মকর্তাদের নিয়ে এই ফোরাম গঠিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার রাশেদুল হক। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ ইয়ামিন (জুলাই ২০২৪-এর শহীদ) এর বাবা মোঃ মহিউদ্দিন। এছাড়া ফোরামের মহাসচিব ও অতিরিক্ত সচিব মহঃ মনিরুজ্জামান এবং সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকাস্থ মেহেরপুর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির সভাপতিসহ আরও অনেক বিশিষ্টজন সভায় বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, পদ্মা-গড়াইয়ের তীরে অবস্থিত বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা একটি পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত এলাকা। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরামসহ অন্যান্য সংগঠন সম্মিলিতভাবে এই এলাকার উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০২৪-এর শহীদ এবং যোদ্ধারা যে উদ্দেশ্যে নিজেদের জীবন ও রক্ত উৎসর্গ করেছেন, সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের শপথ নিতে হবে।
এই অভিষেক অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম, ঢাকা একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও কল্যাণমূলক সংগঠন, যা কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত। ফোরামের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা। একইসাথে, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করা এবং সমাজের সঙ্গে কর্মকর্তাদের সেতুবন্ধন তৈরি করা। ফোরাম বিশ্বাস করে যে ঐক্য, সহযোগিতা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে কর্মকর্তারা জাতীয় পর্যায়ে পেশাগত উৎকর্ষ ও সামাজিক কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।