বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড, এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 11:22 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 11:22 PM
বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড, এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা
বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সভাপতি প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক জোটের গুলশান থানার সভাপতি নেয়ামুল বসিরকে সহযোগিতা করে এসেছেন নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার। ক্লাবটিতে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, গত ২৩-২৪ সালের অডিট ফাইলেও অনিয়ম পাওয়া গেছে। সেখানে ২০-২৫ লাখ টাকার দুর্নীতি রয়েছে বলে ক্লাবের কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন।
এই ক্লাবের সদস্যরা জানান চলতি মাসে ২০ তারিখে ক্লাবটির সাধারণ নির্বাচন হওয়া কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগেই অনিয়মের অভিযোগ করেন সদস্যরা।
নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার জাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং আওয়ামী লীগের দোসর বলে পরিচিত। এই নেতা ইনু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন, যদিও ইনু ছাত্র হত্যা মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসিএল ক্লাবটির আসন্ন নির্বাচনে নেয়ামুল বসির সভাপতি পদপ্রার্থী হলে তার পক্ষে আওয়ামী লীগের দোসররা কাজ করে যাচ্ছে। জানা গেছে, নেয়ামুল বসির গুলশান থানার বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এর সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন। কীভাবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ক্লাবটির সভাপতি হতে চান, এ নিয়ে ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সদস্য জানান, ক্লাবটি রাজধানীর গুলশানের মতো স্থানে অবস্থিত হলেও সেখানে এখনো আওয়ামী লীগের আধিপত্য রয়েছে। আর এ সবকিছু করছেন জাসদের ইনু গ্রুপের প্রেসিডিয়াম সদস্য আক্তার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই আক্তার ঢাকা ১৩ আসনের সাবেক এমপি সাদেক খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং রায়ের বাজার এলাকায় ভূমিদস্যুতায়ও তার নাম রয়েছে। ইনু জেলে থাকলেও তারই দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা সক্রিয়ভাবে রয়েছে, যার মধ্যে আক্তার একজন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আক্তার বলেন, সাদেক খানের সঙ্গে তার বন্ধুতা না থাকলেও তার পাম্পের পাশে একটি বহুতল ভবন রয়েছে। তিনি জানান, নেয়ামুল বসির নাকি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেউ না। তবে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা নিশ্চিত করেছেন যে নেয়ামুল বসির বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের গুলশান থানার সভাপতি। আক্তার নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান হলেও নেয়ামুল বসিরের পক্ষেই কথা বলে যাচ্ছেন।
এদিকে, বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, নেয়ামুল বসিরের কাছে বেশ কয়েকজন প্রায় ১৪ কোটি টাকা পাবে। ক্ষমতার দাপটে সেই টাকা তিনি শোধ করছেন না বলেও কয়েকজন জানিয়েছেন। এসব বিষয়ে আক্তার জানান, সেটা নেয়ামুল বসিরের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে পাওনাদার থাকলে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়াই উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।