গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ: মন্ত্রী, সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে হাতের মুঠোয় রাখার দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ আগস্ট, ২০২৫, 1:46 PM
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ আগস্ট, ২০২৫, 1:46 PM
গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ: মন্ত্রী, সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে হাতের মুঠোয় রাখার দাবি
গণপূর্ত নগর বিভাগ ঢাকা-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সূত্রমতে, গত পাঁচ বছর ধরে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনগুলোতে কর্মরত থেকে তিনি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ হোসেন ডিলুর আমলে রাজশাহী থেকে ঢাকায় বদলি হয়ে তিনি তার ঘনিষ্ঠজনে পরিণত হন এবং এরপর থেকেই তার অধীনে থাকা ডিভিশনগুলোতে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ পেতে থাকেন। কাগজ-কলমে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা যায়।
সাবেক মন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মুক্তাদিরের বিশেষ তদবিরে তিনি শেরেবাংলা নগর-৩ ডিভিশন থেকে ঢাকা-৪ ডিভিশনে বদলি হন এবং গত পাঁচ বছর ধরে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছেন। কথিত আছে, তিনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলীকে নিজের পকেটে রাখেন। যখন যে মন্ত্রী বা সচিব ক্ষমতায় আসেন, তিনি তাদের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
এছাড়াও, তিনি প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামীম আখতারকে নিজের আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে বদলি ঠেকিয়েছেন। ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর সরকারি দফতরগুলোতে ব্যাপক রদবদল হলেও তার বদলি হয়নি। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি রাজশাহী অঞ্চলের বাসিন্দা হওয়ায় রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সঙ্গেও বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। ঢাকার অভিজাত হোটেলে সুন্দরী নারীদের নিয়ে সময় কাটানোর অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। ঠিকাদার মহলে তিনি 'মিস্টার ১৫% রানা' নামে পরিচিত।
শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩ এ থাকাকালীন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডারে অতিরিক্ত ব্যয় প্রাক্কলন, টেন্ডারের তথ্য ফাঁস এবং ঠিকাদার নিয়োগের নামে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবেও তিনি একই ধরনের অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে আরও একটি স্পর্শকাতর অভিযোগ হলো, তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমানোর জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছিলেন। এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার সামনে শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলও করেছিল। এ বিষয়ে জানতে প্রকৌশলী মাসুদ রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনটা কেটে দেন।