ঢাকা ১৪ মার্চ, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গাবতলী'র বস্তিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া হতদরিদ্রদের মাঝে ইফতার মাহফিল ট্যাক্স ল'ইয়ার্স সোসাইটি ২০১৭ এর নির্বাচিত নতুন কমিটির অভিষেক দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত জুড়ীতে আমার দেশ পত্রিকার নাম ভাঙ্গিয়ে এক প্রতারকের চাঁদাবাজির অভিযোগ ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জালাল আহমেদ বহাল তবিয়তে `ট্যাক্স ল'ইয়ার্স সোসাইটি ২০১৭' এর নির্বাচিত নতুন কমিটি ঘোষণা আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা ম্যাচের আগে আইসিসির ক্যামেরার সামনে যা বললেন মিরাজ যুব উন্নয়নে রাজ্জাক-আনিসুলের শক্তিশালী সিন্ডিকেট

ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট যোগসাজশে সবাই ম্যানেজ, সওজের জমি অধিগ্রহণের অর্থ লোপাট

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫,  1:21 PM

news image

অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন ও বিবিধ প্রয়োজনে সরকারি সম্পদের বাইরেও অধিগ্রহণ করতে হয় ব্যক্তির জমি। এই প্রক্রিয়ার সাথে প্রত্যক্ষভাবে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কয়েকটি ধাপে জরিপ সমীক্ষা ও ফাইল চালাচালির পর স্থাপনা, জমি, কিংবা সম্পদ অধিগ্রহণে পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তরে এল.এ বিল দেওয়া হয়।
আর এই অধিকগ্রহণ কর্মযজ্ঞের ধাপে-ধাপে চলে টাকার খেলা। টাকা দিলেই আপনার সম্পদের দাম বেড়ে হবে দ্বিগুণ! নগদ অর্থ না থাকলে দালাল সপন চুক্তি করবে আপনার সাথে। ব্যাপারটা যেন সাপও মরলো- লাঠিও ভাঙলো না! নজরদারীর অভাবে দীর্ঘদিন চক্রটি সরকারি অর্থ ও রাজস্ব লোপাটে ব্যস্ত।
গাজীপুরের সপন @ দালাল সপন ও তার বিশ্বস্ত সহযোগী সুমন। বিভিন্ন দপ্তরে বড় বড় কর্মকর্তা তাদের জানাশোনা। ধরুন সরকারের সড়ক ও জনপদের রাস্তা নির্মাণে জমির প্রয়োজন। দপ্তরের মন্ত্রী, সচিব বা চীপ ইঞ্জিনিয়ার জানার আগেই সপন খবর রেখেছে কোথা থেকে কোন পর্যন্ত, কার কতটুকু জমি অধিগ্রহণ হবে।
জেলা প্রশাসক সার্ভেয়ার শহিদুল এর দরজায় ফাইল নিয়ে সপনের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। জায়গা পরে দেখলেও চলবে! টাকার অংক বুঝে পেলেই নাকি নয় ছয় করতে সিদ্ধহস্ত তিনি। পরের ধাপে রয়েছেন কানুনগো মো. বিল্লাল হোসেন। সপনের নগদ অর্থে বড় বাবুরা ম্যানেজ অন্যদিকে মালিক ঝামেলাবিহীনভাবে বেশি দাম পেয়ে মিলেমিশে সবাই খুশি।
২৩ শে জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ১৪ ই অক্টোবর ২০২৪। যানজট নিরসন ও ভোগান্তি কমাতে পরিকল্পনা কমিশন ১৩ কিলোমিটার মহাসড়ক পিপিপি পিপিপি ভিত্তিতে হাতিরঝিল রামপুরা সেতু,বনশ্রী- শেখেরজায়গা- আমুলিয়া, ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। ১ হাজার ২০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা খরচ করা হবে অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণে।
নিয়ম হলো এলাইনমেন্ট ব্যক্তির যত ফিট অংশ লাগবে ঠিক ততটুকুর বিল পাবে জমির মালিক। সড়ক ও জনপদের প্রধান কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী  মো. আকতার হোসেন, গণপূর্তের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম ও দালাল সপন ৩০% ও মালিকের ৭০% হিসেবে দীর্ঘদিন চলছে এমন অর্থ লোপাট। প্রকল্প পরিচালক মো.এনামুল হক ও প্রকল্প ব্যাবস্থাপক মো. মাইদুল ইসলাম সহ উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন  ৮/১০ ফিট যায়গার বিপরীতে পুরো ভবন,জমি ও স্থাপনার ক্ষতিপুরণের দৃশ্যমান দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা কামাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে সপনের গাজীপুর বিআরটিএ প্রকল্প ও সড়ক বিভাগ নরসিংদী সার্ভেয়ার থাকার সময়ে উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন, ডিসি অফিসের অপর এক সার্ভেয়ার  জাহাঙ্গীর আলমসহ সিন্ডিকেটের অর্থ লোপাটে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও বহাল তবিয়তে চলছে সবই।
সম্প্রতি ২৫৩ কোটি টাকার এল.এ কেস ডিসি অফিস ঢাকায় অধিগ্রহণ পাশের জন্য জমা হয়েছে। ০৩.১৫.০৪/২০২২-২০২৩ নম্বর এল.এ কেসটি আমুলিয়া মৌজার আইটি মডেল কলেজ ও হাসপাতালের ২৫০৮ নম্বর দাগের ০.০০৬৪ শতাংশের ০.০০১১ শতাংশ অধিগ্রহণ বিল পাশের অপেক্ষায়।  যাহার টি.আই.এন নম্বর -৭৩১৩৮৪৩৭২৪৫। সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলমের যোগসাজশে ১৬ কোটি টাকার আরো একটি অধিগ্রহণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এল.এ কেস নম্বর- ০৩.১৫.০৫/২০২২-২০২৩, নন্দীপাড়া মৌজার ১২৭৮৮ নং দাগের ০.৫৬৪৮ শতাংশের জমিটির ০.০৬৩০ শতাংশের ভূমিমুল্যের যে ক্ষতিপূরণ আদায় হচ্ছে তার সবই নির্ধারণ হচ্ছে স্বপন গংদের ইশারায়। কেস নম্বরটির মন্তব্যের কলামে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে স্থাপনা ও ক্ষতিপুরণ আদায়ে প্রকৃত মূল্যের অধিক দাম বা ভ্যালুয়েশনের অপচেষ্টার বিষয়ে। নন্দী পাড়ার মরহুম সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. আজগর হোসেনের এ জমির অধিগ্রহণে দেখানো সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন-
অভিযোগ বিষয়ে সপনের বক্তব্য জানতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করলেও পাওয়া যাইনি কোন প্রতিক্রিয়া।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারী অর্থ লোপাটের এসব অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজখবর জানতে
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান বলেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে নেওয়া হবে ব্যাবস্থা।
বহুদিন ধরে চলমান এল.এ শাখার সিন্ডিকেট ও সরকারী অর্থ হাতিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ ও জোরালো নজরদারির অভাবে একদিকে কতিপয় কিছু অসাধু কর্মকর্তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতো ফুলেফেঁপে উঠছে তাদের সম্পদ। অন্যদিকে অপচয়কৃত এমন অর্থে খরচ বাড়ছে প্রকল্প সমুহে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাজস্ব খাত। জনসাধারণের মতামত নতুন সমাজ বিনির্মানে এসব দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে অধরাই রয়ে যাবে ছাত্রজনতার স্বপ্নের সমাজ।

logo প্রকাশক - মোঃ মাহফুজুর রহমান সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক- আব্দুস সালাম মিতুল