ঢাকা ১৫ মার্চ, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গাবতলী'র বস্তিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া হতদরিদ্রদের মাঝে ইফতার মাহফিল ট্যাক্স ল'ইয়ার্স সোসাইটি ২০১৭ এর নির্বাচিত নতুন কমিটির অভিষেক দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত জুড়ীতে আমার দেশ পত্রিকার নাম ভাঙ্গিয়ে এক প্রতারকের চাঁদাবাজির অভিযোগ ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জালাল আহমেদ বহাল তবিয়তে `ট্যাক্স ল'ইয়ার্স সোসাইটি ২০১৭' এর নির্বাচিত নতুন কমিটি ঘোষণা আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা ম্যাচের আগে আইসিসির ক্যামেরার সামনে যা বললেন মিরাজ যুব উন্নয়নে রাজ্জাক-আনিসুলের শক্তিশালী সিন্ডিকেট

ওমিক্রন ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে এশিয়ায় ধীর গতিতে ছড়াচ্ছে

#

৩০ ডিসেম্বর, ২০২১,  1:33 PM

news image

ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে এশিয়ার দেশগুলোতে ধীরগতিতে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের জাতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস।


২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়ার পর গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশে প্রাধান্য বিস্তারকারী ধরন হয়ে উঠেছে এই ভাইরাসটি। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণে রীতিমতো ধুঁকছে ইউরোপ।কিন্তু এশিয়ার সঙ্গে যদি এই দুই মহাদেশের পরিস্থিতি তুলনা করে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনবহুল এই মহাদেশে ধীর গতিতে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসটি। কিন্তু কীভাবে এটি সম্ভব হলো?


একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে কঠোর কোয়ারেন্টাইন বিধি ও মাস্ক পরা বিষয়ক বাধ্যবাধকতা। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার অল্প কয়েকদিনের মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ বিদেশী যাত্রীদের প্রবেশ ও কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ ফের কঠোর করে।


তার সুফলও অবশ্য পাচ্ছে দেশগুলো। থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭০০ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই সংখ্যা ৫ শ’র কিছু বেশি এবং জাপানে ৩ শতাধিক।


বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনে এ পর্যন্ত ওমিক্রনে শনাক্ত হয়েছেন ৮ জন। ফিলিপাইনে আরও কম- মাত্র ৪ জন।চলতি বছর করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে থাকা ভারতেও এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে ওমিক্রন পরিস্থিতি। ১৪০ কোটি মানুষের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ শ’র কিছু বেশিসংখ্যক রোগী।


এছাড়া ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশ রাত্রিকালীন কারফিউসহ কঠোর করোনা বিধিনিষেধ জারি করেছে। ইতোমধ্যে বড়দিন ও নববর্ষের উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দিল্লি।


তবে কতদিন এই সুফল এশিয়াবাসী ভোগ করতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দিহান আছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে হলেও এশিয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবং যে কোনো সময়েই সংক্রমণের উল্লম্ফন ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের কয়েকমাস খুবই কঠিন হবে এশিয়াবাসীর জন্য।


জাপানের ক্ষমতাসীন সরকারের শীর্ষ চিকিৎসা উপদেষ্টা ডা, শিগেরু অমি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যে কোনো সময়, একটু অসতর্ক হলেই ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে থাকবে এবং একবার যদি সংক্রমণ বাড়া শুরু করে, এশিয়ার দেশগুলোতে ভয়াবহ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়বে এই ভাইরাসটি।

logo প্রকাশক - মোঃ মাহফুজুর রহমান সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক- আব্দুস সালাম মিতুল