তানোর পৌরসভার মেয়র এর পক্ষে বড়ো দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, 10:22 PM
২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, 10:22 PM
তানোর পৌরসভার মেয়র এর পক্ষে বড়ো দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
আজ ২৫ ডিসেম্বর (শনিবার) বিশ্বব্যপি খৃস্টান ধর্মালম্বিদের ইশ্বর যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন-খৃৃিস্টমাস ডে/ বড় দিন উদযাপিত হচ্ছে।রাজশাহীর তানোর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র ইমরুল হক এর পক্ষে পৌরসভার প্রতিটি গির্জায় পৌর তহবিল থেকে উনুদান প্রদান করেন মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই, সোহেল রানা।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল হাডান সরকার (পাপুল) কাউন্সিলর এনতাজ মোল্লা পৌর যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান প্রতাপ হালদার প্রমুখ।
তানোর উপজেলার খৃষ্টান সম্প্রদায়কে খ্রিস্টমাস ডে/ বড় দিন উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে সোহেল রানা ও রাকিবুল হাসান সরকার পাপুল এক যৌথ শুভেচ্ছা বার্তায় বলেনঃ-
ধর্ম যার-যার-উৎসব সবার।
খ্রিস্টমাস ডে / বড় দিন উৎসব খৃষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে বয়ে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ-শান্তি ও আনন্দ। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই যেন এ আনন্দ সমানভাগে ভাগাভাগি করে, সামাজিক রীতিনীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে পারে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা রাকিবুল হাসান সরকার (পাপুল) যিশুখ্রিস্টের জন্মদিনের সৃতিচারণ করে বলেন; গোটা বিশ্ব ২৫ ডিসেম্বর তারিখটি যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন বা বড়োদিন হিসাবে পালন করে।
৩৩৬ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হিসাবে পালন করা শুরু হয় রোমে। এর পর ৩৫০ খ্রিস্টাব্দে পোপ জুলিয়াস এই দিনটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হিসাবে ঘোষণা করেন। তখন থেকেই এই দিনটিই খ্রিস্টমাস ডে হিসাবে পালিত হচ্ছে।
তবে এর পিছনেও ছিল প্রচুর ইতিহাস ও বিতর্ক। সাধারণ ভাবে সকলেরই জানা খ্রিস্টের জন্মের পর থেকে খ্রিস্টাব্দ গণনা শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ ২০২০ বছর আগে খ্রিস্টাব্দের জন্ম। কিন্তু হিসাবটা তখন এত সোজা ছিল৯না।
যিশু খ্রিস্টের জন্মের পর তৃতীয় শতাব্দী পর্যন্ত কেবল তাঁর মৃত্যু দিবসই পালন করা হতো। এনসাইক্লোপিডিয়া আমেরিকানা থেকে জানা গিয়েছে, সেই সময় চার্চের ফাদাররা যিশুর জন্মের প্রথম শতাব্দী থেকেই জন্মদিন পালন করতেন না। কারণ, স্মরণীয় ব্যক্তিদের মৃত্যুবার্ষিকীই পালন করার রেওয়াজ ছিল সেই সময়।
৫২৫ সালে প্রথম পোপ জন ডায়ানিসিয়াস ইগজিগাস চার্চগুলির জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিলেন। তাতে লেখা হয় রোমের প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭৫৩ বছর পর জন্ম নিয়েছিলেন যিশুখ্রিস্ট। কিন্তু, এই তথ্য ভুল। কারণ যিশুর জন্ম সংক্রান্ত ‘গসপেল রেকর্ড’ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর জন্ম হয়েছিল হেরোদ দ্য গ্রেটের আমলে।
অবশেষে এই সময়ে ছ’টি মাসের মোট আটটি তারিখ প্রস্তাবিত হয় যিশুর জন্মদিন হিসাবে। তার মধ্যে সব শেষে ছিল ২৫ ডিসেম্বর। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম শতাব্দীতে ২৫ ডিসেম্বর তারিখটি স্থির করে ওয়েস্টার্ন চার্চ । এই আটটি তারিখের মধ্যে ছিল ২৮ মার্চ, ২ এপ্রিল, ১৮ নভেম্বর ইত্যাদিও।
আবার এনসাইক্লোপিডিয়া আমেরিকানা অনুযায়ী, পুরনো রোমান ‘ফিস্ট’ অনুসারে ‘দ্য সান গড’ বা ‘সল'(sol)-এর জন্মদিন হিসাবে এ দিনটিকেই পালন করা হতো।
রোমান ক্যাথলিক লেখক মারিও রিঘেট্টির লেখা থেকে জানা গিয়েছে, পৌত্তলিকদের বিশ্বাস টেনে আনতে চার্চ অব রোম ২৫ ডিসেম্বরকেই পাকাপাকি ভাবে যিশুর জন্ম দিন হিসাবে ঠিক করে দেয়। কারণ, ওই দিনটি অন্ধকারের বিনাশক সূর্য ‘মিথরাস’কে উৎসর্গ করে বিশেষ ভাবে পালন করা হতো।