ঢাকা ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
জুড়ীতে দলীয় বিভাজন সৃষ্টি‌ করছেন‌ যুবদল নেতা নিপার রেজা  তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে সাজুর মোটরসাইকেল শোডাউনে হতাশ নেতাকর্মীরা দর্শনায় বিএনপির জনসংযোগ ফের বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এনবিআরের কর পরিদর্শক সাইদুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ: কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে আইটিআইআইইউ তারেক রহমান প্রণীত ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নে সাইবার ফোর্সের মতবিনিময় সভা চাঁদপুরে সড়ক ও জনপথের ২১ কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : এস এ সিদ্দিক সাজু বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ

১০ বছরের শাসনকাল কিমের

#

২৩ ডিসেম্বর, ২০২১,  4:54 PM

news image

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার আসনে গেল ১০ বছর যাবত বসে আছেন কিম জং উন। মাত্র ২৭ বছর বয়সে দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। কখনো আলোচিত, কখনো সমালোচিত, কখনো বা জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেছেন কিম। আসলেই কি তার নেতৃত্ব চমকপ্রদ না-কি অন্য কোনো কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার দেশ সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। যদিও উত্তরসূরিদের কাছ থেকে ক্ষমতার আসন পেলেও নিজেই এখন অন্যভাবে চিনিয়েছেন বিশ্বকে।


২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়াতে কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুকালে কিম জং ইলের বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। এরপর বাবা কিম জং ইলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে ২৮ ডিসেম্বর নিজেকে দেশের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে ঘোষণা করেন কিম জং উন।


শিক্ষা জীবনে ইল সাং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এবং সেনা কর্মকর্তা হিসেবে কিম ইল সাং সামরিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি ডিগ্রি নিয়েছেন কিম জং উন। নতুন একজন অল্প বয়সী নেতা যিনি স্কিইং ও বাস্কেটবল খেলতে ভালোবাসেন, রাতারাতিই হয়ে গেলেন উত্তর কোরিয়ার চেঞ্জ মেকার।


কিম জং উন ক্ষমতায় বসার পর অনেকে ধারণা করেছিলেন, সামরিক বাহিনী হয়তো শাসন করবে দেশ। তরুণ একনায়ককে কিছুটা হলেও অবমূল্যায়ন করেছিল বিশ্বের অনেকেই। যদিও অল্প বয়সী হয়েও কিম জং উন নিজের আসন পাকাপোক্ত করেছেন। শুধু তাই নয়- ‘কিম জং ইউনিজম’ এর ধারা সূচনা করেছেন।


অভিযোগ রয়েছে, শুরু থেকেই কিম নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মূল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন এবং শতাধিক মৃত্যুদণ্ড দিয়ে শুরু করেছিলেন দেশ শাসন। এরপর নজর দেন বহির্বিশ্বে। চারটি পারমাণবিক পরীক্ষা, একশটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং বহুবার হুমকি-ধমকির পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কিম জং উনের আলোচনা এখন কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।তবে পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য বহু অর্থ ব্যয় করা তার নেশায় পরিণত হয়। যদিও বিভিন্ন সময় এর খেসারতও দিতে হয়েছে দেশবাসীকেই। গভীর আর্থিক সংকটে পড়েছে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি। তার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশ আরও বেশি দারিদ্র্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।


মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কিম জং উন ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এশিয়ার পরাশক্তি চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যদিও তখন শুধু মানুষ নয়, বাণিজ্যেও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। ফলে খাদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ সংকট প্রকট হয় দেশটিতে। যেখানে দেশটির ৮০ শতাংশের বেশি বাণিজ্যিক লেনদেন হয় চীনের সঙ্গে।


কিম সরকারের দাবি, কোভিড মহামারি মোকাবিলায় সাফল্য লাভ করেছে তারা। নানা সংকটের মধ্য দিয়ে গেলেও কিম জং উন মাথা নত করতে নারাজ। বিদেশি শক্তির কূটনৈতিক জালে আটকা পড়েন না কিম। কিন্তু নিজ দেশের মানুষের তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ আছে।উল্লেখ্য, সব সময় নিজেকে নিয়ে রহস্যময় কাণ্ড ঘটান কিম জং উন। মাঝে মাঝে উধাও হয়ে যান। ফলে তাকে নিয়ে বৈচিত্র্য খবরও ছড়িয়ে যায় বিশ্বজুড়ে। ভিন্নমতাবলম্বী ও দলত্যাগকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হলেও কিম জং উন তার বাবার চেয়েও বন্ধুসুলভ এবং স্মার্ট। তার হেয়ার স্টাইলের জন্যও ব্যতিক্রমী নেতা হিসেবে পরিচিতি তিনি, যা তরুণদের আকৃষ্ট করে। কিম জং উন ২০১২ সালে রি সোল-জু নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন।

logo সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান