ঢাকা ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
জুড়ীতে দলীয় বিভাজন সৃষ্টি‌ করছেন‌ যুবদল নেতা নিপার রেজা  তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে সাজুর মোটরসাইকেল শোডাউনে হতাশ নেতাকর্মীরা দর্শনায় বিএনপির জনসংযোগ ফের বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এনবিআরের কর পরিদর্শক সাইদুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ: কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে আইটিআইআইইউ তারেক রহমান প্রণীত ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নে সাইবার ফোর্সের মতবিনিময় সভা চাঁদপুরে সড়ক ও জনপথের ২১ কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : এস এ সিদ্দিক সাজু বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ

মানিকগঞ্জ ৯ ওয়ার্ডে (গড়পাড়া ) বিজয়ী প্রার্থীর উপর আওয়ামী সমর্থকদের হামলা

#

৩০ নভেম্বর, ২০২১,  11:32 PM

news image


মানিকগঞ্জ ৯ ওয়ার্ডে (গড়পাড়া ) বিজয়ী প্রার্থীর উপর আওয়ামী সমর্থকদের হামলা

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে করে সহিংসতা থামছেই না। সারা দেশে প্রথম ধাপে সংঘটিত নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, গোলাগুলি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ইত্যাদির প্রেক্ষাপটে দেশবাসী আশা করেছিল, দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে লক্ষ করা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটছে। আজ রবিবার মানিকগঞ্জ ৯ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সংঘর্ষ দেখা দেয়। নির্বাচনে টিউবওয়েল মার্কা আলাল হোসেন ৬১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হলে তালাচাবি মার্কা সিরাজুল ইসলামের সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ভোট গণনা থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত তালাচাবি মার্কার সমর্থকরা টিউবওয়েল মার্কার সমর্থকদের মারধর এবং বাড়িঘরে ভাঙচুর করে। এ সময় হৃদয়, হাবীবুল্লাহ সজীব, রাতুল, সাব্বির, শরীফ, মুন্নু, কাউসার এবং আকতার হামলায় অংশগ্রহণ করে। হামলায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়। বিজয়ী প্রার্থী আলাল হোসেনকে ঘরবন্দী করে রাখা হয়েছে। 

উল্লেখ্য ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে মাঠে নেই বিএনপিসহ দেশের বেশির ভাগ বিরোধী দল। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬টিতে ১১ নভেম্বর এবং তৃতীয় ধাপে এক হাজার ৭টিতে ২৮ নভেম্বর নির্বাচন। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের বর্জনের মুখে প্রায় একদলীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিভিন্ন স্থানে সঙ্ঘাত, সংঘর্ষ ও প্রাণহানি ঘটেই চলেছে। এই নির্বাচন ঘিরে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি আরো তীব্র হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইদানীং ভাগাভাগির দৌড়ে ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্টরা এতটাই বেপরোয়া যে ‘ধরো, মারো, কাটো, তবু নিজের স্বার্থ হাসিল করো’। ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের মানসিকতাÑ যেকোনোভাবে হোক সহজ উপায় দলীয় পদ-পদবি এবং যেকোনো স্তরে জনপ্রতিনিধি হওয়া। এ জন্য ক্ষমতাপ্রত্যাশীরা দলের মনোনয়ন পেতে মরিয়া। ফলে যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। ক্ষমতার স্বাদ পেতে তৃণমূলের নেতারা নিজস্ব বলয় সৃষ্টিতে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন। কর্মী-সমর্থক নিয়ে যুদ্ধংদেহী অবস্থান নিচ্ছেন। এতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটছে।

logo সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান