ঢাকা ১৫ মার্চ, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গাবতলী'র বস্তিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া হতদরিদ্রদের মাঝে ইফতার মাহফিল ট্যাক্স ল'ইয়ার্স সোসাইটি ২০১৭ এর নির্বাচিত নতুন কমিটির অভিষেক দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত জুড়ীতে আমার দেশ পত্রিকার নাম ভাঙ্গিয়ে এক প্রতারকের চাঁদাবাজির অভিযোগ ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জালাল আহমেদ বহাল তবিয়তে `ট্যাক্স ল'ইয়ার্স সোসাইটি ২০১৭' এর নির্বাচিত নতুন কমিটি ঘোষণা আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশ জনতা পার্টির আলোচনা সভা ম্যাচের আগে আইসিসির ক্যামেরার সামনে যা বললেন মিরাজ যুব উন্নয়নে রাজ্জাক-আনিসুলের শক্তিশালী সিন্ডিকেট

সংবাদ সম্মেলনে মুণ্ডুমালা পৌর মেয়র

#

২৩ নভেম্বর, ২০২১,  5:39 PM

news image


রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভা গঠনের পর থেকে পৌরকর বৃদ্ধি করা হয়নি। দীর্ঘদিন পৌরকর হালনাগাদ না করার জন্য থেকে আছে সব উন্নয়ন। বিগত মেয়ররা পৌরকর বৃদ্ধির উদ্যোগ নেন নি। বর্তমান মেয়র সাইদুর রহমান পৌরসভার উন্নয়নকে সচল করতে ও নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করতে ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের সহনিয় পর্যায়ে পৌরকর বৃদ্ধির লক্ষ্য উদ্যোগ নিয়েছেন।


তবে ‘পৌর জন অধিকার সংরক্ষণ কমিটি’ নামের ব্যানারে কিছু মানুষ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে অপ্রচারে নেমেছে। পৌর এলাকার উন্নয়নের লক্ষে পৌরকর বৃদ্ধি নিয়ে যে ভিত্তিহীন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে তার বিরুদ্ধে মেয়র সাইদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।


মঙ্গলবার মুণ্ডুমালা পৌর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র সাইদুর রহমান জানান, প্রতি বছর বেতন বাবদ পৌরসভার খরচ হয় এক কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এ ব্যায়ের পাশাপাশি অন্যসব ব্যয় হয় প্রায় ২৫ লাখ টাকা। এ ব্যয়ের পেছনে পৌরসভার আয় অতি সামান্য। প্রতি বছর ব্যয় মিটিয়ে প্রায় কোটি টাকা বকেয়া থাকে।


তিনি আরো জানান, পৌরসভা স্থনীয় সরকারের মাঠ পর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। পৌরসভা প্রতিষ্ঠানটি জনসাধারনের ট্যাক্স ও বিভিন্ন রাজস্ব আয় দ্বারা পরিচালিত হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর পৌরসভা সম্পর্কিত আইন, বিধি এবং অন্যান্য নির্দেশাবলীর সংকলন” এর তৃতীয় অধ্যায়ের ১৮ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিধান কর মূল্যায়ন তালিকা (১) বিধি ১৭তে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর পর পৌর হোল্ডিং কর নির্ধারনের বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর পৌর হোল্ডিং কর নির্ধারন না করে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর কর নির্ধারন করা হচ্ছে।


পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পূর্বে পৌরসভার হোল্ডিং কর ৯০ ভাগ আদায় এবং প্রতি ৫ বছর পর পর পুন: কর নির্ধারন করা হয়েছে কিনা এবং বর্ধিত হয়ে থাকলে শতকরা কত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তা প্রমানসহ তথ্য চাওয়া হয়। সেই কারণে পৌর কর হালনাগাদকরণ জরুরি। যদি পুন: কর নির্ধারন কার্য্যক্রম চালু না রাখা যায় তবে পৌরসভার কোন উন্নয়ন কার্যক্রম সম্ভব হবে না।


সুতরাং আমি চাই আপনাদের নিয়ে সরকারী বিধি বিধান লালন করে পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে সামনের দিকে এবং উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আপনাদের সহযোগিতায়।


পৌরবাসীদের উদ্দেশ্যে মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, কিছু মানুষ জনসাধারনকে মানববন্ধনের মাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অতিরিক্ত কর ধার্য্য করা হয়েছে মর্মে জন মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। প্রকৃত পক্ষে আমি আপনাদের সুচিন্তিত মতামত নিয়ে আগামী ধার্য্যকৃত করের ব্যপারে ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ১ হতে ৯ নং ওয়ার্ডের পৌর কর নির্ধারনী শুনানী কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এরপরে সাধারণ মানুষ যে রায় দিবেন সে অনুযায়ি পৌরকর বৃদ্ধি করা হয়। সাধারণ মানুষকে কোন বিভ্রান্তিতে না পড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

logo প্রকাশক - মোঃ মাহফুজুর রহমান সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক- আব্দুস সালাম মিতুল