ঢাকা ৩০ জুলাই, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
অবৈধ উচ্ছেদের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আড়ৎ মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অবৈধ উচ্ছেদের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আড়ৎ মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ পতিত স্বৈরাচার সরকারের আমলের বিসিআইসির সার ডিলার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারলেই সার ব্যবস্থাপনা সঠিক গতি ফিরে আসবে অবৈধভাবে জমি লিজ দিয়ে কোটি টাকা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের পকেটে ফিরেছেন প্রসূনের বাবা, কোথায় ছিলেন বলছেন না বিআইডব্লিউটিএ-তে দুর্নীতি: প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকোর ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প এনবিআরের আন্দোলন ছিল সরকারবিরোধী : জ্বালানি উপদেষ্টা আবু সাঈদ হত্যা : চার আসামি ট্রাইব্যুনালে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে পাটোয়ারী-হাসনাত-সারজিসরা

সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রতিবন্ধি উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পুনর্বাসন কেন্দ্র

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ মার্চ, ২০২৫,  11:00 PM

news image

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে জর্জরিত। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলেই এ দুটি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠে। এখনো পর্যন্ত সেখানে বহাল তবিয়তে রয়ে গিয়েছেন সেই সরকারের বিভিন্ন কুকর্মে লিপ্ত ব্যক্তিরা। নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথের বিরুদ্ধেও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) থাকাকালীন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সরকারি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ বারবার মিললেও অজানা কারণে তিনি জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে বহাল রয়েছেন।

অন্যদিকে, সাবেক সমাজকল্যাণ সচিব খায়রুল আলম সেখ এখনো সমাজসেবা অধিদপ্তরে তার আধিপত্য বজায় রেখেছেন। ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই কর্মকর্তার দুর্নাম সর্বত্র। সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপিং তৈরি করে তিনি মন্ত্রণালয়ে নিজের প্রভাব বজায় রাখতে চাইছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

খায়রুল আলম সেখের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি হাসিনা সরকারের আমল থেকেই বেসরকারি প্রকল্প থেকে ১০ শতাংশ উৎকোচ নিতেন। এছাড়া, সরকারি ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজের বাবার নামে একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থাকাকালীন তিনি মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে এস আলমের বিদেশে নাগরিকত্বের ‘নথি’ অনুমোদন করেন। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) থাকাকালীনও তিনি সরকারি খাসজমি ইজারা ও অন্যান্য খাত থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে খায়রুল আলম সেখের নামও উঠে এসেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী খায়রুল আলম সেখের কারণে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। 

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের এই কালো ছায়া থেকে মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

logo প্রকাশক - মোঃ মাহফুজুর রহমান সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক- আব্দুস সালাম মিতুল