শতবর্ষী গোরহাঙ্গা পুকুর দূষিত পানিতে পরিবেশের ওপর প্রভাব
২৭ আগস্ট, ২০২২, 5:06 PM

২৭ আগস্ট, ২০২২, 5:06 PM

শতবর্ষী গোরহাঙ্গা পুকুর দূষিত পানিতে পরিবেশের ওপর প্রভাব
শত বছরের ঐতিহ্য রাজশাহী নগরীর গোরহাঙ্গা পুকুর।ময়লা, দূর্গন্ধ আর দূষিত পানিতে বর্তমানে এই পুকুরপাড়ে বসবাসরতরা পড়েছেন বিপাকে। দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন বলে দাবি করছেন এলাকাবাসি।
পুকুরের আশপাশের মানুষ ও মসজিদের মুসল্লিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। পুকুরের দূষিত পানির গন্ধ এলাকাটিকে বসবাসের অনুপোযোগী করে তুলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, সর্বশেষ ১২ বছর যাবৎ এই পুকুরটি পরিচালনা করছেন সেন্টু ও আজু নামে দুই ব্যক্তি। তারা পুকুরে মাছ চাষ করেন। পুকুরে যেসব মাছের খাবার দেয়া হয়, তা পানিকে আরও দূষিত করে এবং ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গন্ধ ছড়ায়। এতে মসজিদের মুসল্লী ও পুকুরপাড়ে বসবাসরত মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। এলাকাবাসী ঐ পুকুরে গোসল করে চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও পুকুর পাড়টি বিভিন্ন রকম ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভূমিদস্যুরা দখলের চেষ্টা করছেন বলেও সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। পুকুর ও পরিবেশ রক্ষায় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুকুর পাড়ের একাধিক বাসিন্দা বলেন, বার বছর ধরে পুকুরটি সেন্টু ও আর্জুর দখলে আছে। তারা গবর, মুরগির বিষ্ঠা সহ বিভিন্ন ধরনের মাছের জন্য খাবার ফেলে পুকুরের পানি দূষিত করছে। যদিও তারা পুকুরটি লিজ নিয়েছেন কিন্তু তারা সেটা সংস্কারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তারা আরও বলেন, এ পুকুরটি দখল মুক্ত করে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে হবে। এতে পুকুর পাড়ে বসবাসরত বাসিন্দারা অনেক উপকৃত হবেন। আনুমানিক ৫ বিঘা জমির এই পুকুরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এলাকাবাসীর গোসল ও থালা বাসন মাজা ও পুকুর সংশ্লিষ্ট নানা কাজ।
এলাকাবাসী সেন্টু ও আজুর ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। তবে পুকুরের পানির গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে এখন মুখ খুলতে শুরু করে করেছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে পুকুরের দায়িত্বে থাকা আজু বলেন, পুকুর সংস্কার তো আমিও চাই। পরিষ্কার পুকুরেই মাছ চাষ করতে হয়। কিন্তু এলাকাবাসী পুকুর নোংরা করছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমি গোবর বিষ্ঠা দিয়েছি। পুকুরের
দূষিত পানির গন্ধে এখন এলাকাবাসী একত্র হয়েছে। মসজিদ কমিটি আমাকে অভিযোগ দিয়েছে। এখন আমি পুকুরটি পরিষ্কারের কাজ শুরু করবো।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।