ঢাকা ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
জুড়ীতে দলীয় বিভাজন সৃষ্টি‌ করছেন‌ যুবদল নেতা নিপার রেজা  তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে সাজুর মোটরসাইকেল শোডাউনে হতাশ নেতাকর্মীরা দর্শনায় বিএনপির জনসংযোগ ফের বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এনবিআরের কর পরিদর্শক সাইদুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ: কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে আইটিআইআইইউ তারেক রহমান প্রণীত ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নে সাইবার ফোর্সের মতবিনিময় সভা চাঁদপুরে সড়ক ও জনপথের ২১ কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : এস এ সিদ্দিক সাজু বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ

মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন যুবলীগ নেতা

#

২১ নভেম্বর, ২০২১,  2:02 PM

news image

    

রাজশাহীর তানোরে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃষিবিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদের গবেষণা প্লট নষ্ট করার পর এবার ঘটনাটি মীমাংসার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছেন অভিযুক্ত সেই যুবলীগ নেতা। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আবদুল ওহাব নামের ওই যুবলীগ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি তানোর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন ওহাব এবং তাঁর অনুসারীরা।

এ ঘটনায় গত সোমবার বিকেলে তানোর থানায় অভিযোগ করেছেন নূর মোহাম্মদ। পুলিশ বলছে, অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান।


অভিযোগে নূর মোহাম্মদ বলেছেন, তানোর উপজেলা সদরের গোল্লাপাড়া গ্রামের একটি গবেষণা প্লটের ছোট ছোট অংশে বিভিন্ন জাতের ধান লাগিয়েছেন। গবেষণা প্লটের পাশেই অঞ্জন মালাকার নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীর জমি। সেই জমির ধান কেটে ট্রলিতে করে নেওয়ার সময় শ্রমিকেরা গবেষণার ধান নষ্ট করছিলেন। নূর মোহাম্মদ এর প্রতিবাদ করলে অঞ্জনের পক্ষ নিয়ে ওহাব সেখানে যান। প্রভাব দেখিয়ে তিনি নূর মোহাম্মদকে হুমকি-ধমকি দেন। এক পর্যায়ে তাঁর ও অঞ্জনের নির্দেশে কয়েকজন শ্রমিক নূর মোহম্মদকে আটকে রেখে মারধর করতে থাকেন। অন্যদিকে তাঁর প্লটের ধান নষ্ট করে অঞ্জনের ধানের ট্রলি পার করা হয়। এরপর নূর মোহাম্মদকে তাঁরা ছেড়ে দেন।

পরে এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন নূর মোহাম্মদ। আজ রবিবার দুপুরে তিনি সকালের সময়  পত্রিকাকে জানান, অভিযোগ করার পর থেকেই আবদুল ওহাব তাঁর লোকজনের মাধ্যমে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করছেন। তাঁকে নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সবাই মিলে যদি গ্রহণযোগ্য মীমাংসা হয়, তাহলে হবে। নইলে পুলিশ তাঁদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।

অভিযুক্ত ওহাবের মতো অঞ্জন মালাকারের ফোনও বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, থানায় অভিযোগ করার পর থেকেই তাঁরা গা-ঢাকা দিয়েছেন।

logo সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান