ঢাকা ১১ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
'দলীয় ক্ষমতার ছায়ায়' কুলাউড়ার ত্রাস উজ্জ্বল কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ার এর পরিবেশক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফ্যাসিস্ট সরকারের ধূসর আম্পানের প্রকল্প পরিচালক রফিকুল হাসান দুদুকে মামলা থাকা সত্ত্বেও এখনো বহাল তবিয়তে দুদকের মামলার পরেও রেলের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি অবৈধ উচ্ছেদের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আড়ৎ মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অবৈধ উচ্ছেদের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আড়ৎ মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ পতিত স্বৈরাচার সরকারের আমলের বিসিআইসির সার ডিলার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারলেই সার ব্যবস্থাপনা সঠিক গতি ফিরে আসবে অবৈধভাবে জমি লিজ দিয়ে কোটি টাকা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের পকেটে ফিরেছেন প্রসূনের বাবা, কোথায় ছিলেন বলছেন না বিআইডব্লিউটিএ-তে দুর্নীতি: প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন যুবলীগ নেতা

#

২১ নভেম্বর, ২০২১,  2:02 PM

news image

    

রাজশাহীর তানোরে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃষিবিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদের গবেষণা প্লট নষ্ট করার পর এবার ঘটনাটি মীমাংসার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছেন অভিযুক্ত সেই যুবলীগ নেতা। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আবদুল ওহাব নামের ওই যুবলীগ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি তানোর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন ওহাব এবং তাঁর অনুসারীরা।

এ ঘটনায় গত সোমবার বিকেলে তানোর থানায় অভিযোগ করেছেন নূর মোহাম্মদ। পুলিশ বলছে, অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান।


অভিযোগে নূর মোহাম্মদ বলেছেন, তানোর উপজেলা সদরের গোল্লাপাড়া গ্রামের একটি গবেষণা প্লটের ছোট ছোট অংশে বিভিন্ন জাতের ধান লাগিয়েছেন। গবেষণা প্লটের পাশেই অঞ্জন মালাকার নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীর জমি। সেই জমির ধান কেটে ট্রলিতে করে নেওয়ার সময় শ্রমিকেরা গবেষণার ধান নষ্ট করছিলেন। নূর মোহাম্মদ এর প্রতিবাদ করলে অঞ্জনের পক্ষ নিয়ে ওহাব সেখানে যান। প্রভাব দেখিয়ে তিনি নূর মোহাম্মদকে হুমকি-ধমকি দেন। এক পর্যায়ে তাঁর ও অঞ্জনের নির্দেশে কয়েকজন শ্রমিক নূর মোহম্মদকে আটকে রেখে মারধর করতে থাকেন। অন্যদিকে তাঁর প্লটের ধান নষ্ট করে অঞ্জনের ধানের ট্রলি পার করা হয়। এরপর নূর মোহাম্মদকে তাঁরা ছেড়ে দেন।

পরে এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন নূর মোহাম্মদ। আজ রবিবার দুপুরে তিনি সকালের সময়  পত্রিকাকে জানান, অভিযোগ করার পর থেকেই আবদুল ওহাব তাঁর লোকজনের মাধ্যমে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করছেন। তাঁকে নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সবাই মিলে যদি গ্রহণযোগ্য মীমাংসা হয়, তাহলে হবে। নইলে পুলিশ তাঁদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।

অভিযুক্ত ওহাবের মতো অঞ্জন মালাকারের ফোনও বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, থানায় অভিযোগ করার পর থেকেই তাঁরা গা-ঢাকা দিয়েছেন।

logo সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান