চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীকে ধর্ষণ করেছে (জনি) নামের একজন
মোঃ মোজাম্মেল হক, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
২২ জুলাই, ২০২২, 11:56 AM

মোঃ মোজাম্মেল হক, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
২২ জুলাই, ২০২২, 11:56 AM

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীকে ধর্ষণ করেছে (জনি) নামের একজন
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীকে ধর্ষণ করলেন চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিপ্লোমা ডাক্তার মনিরুল হায়দারের ছোট ভাই মনজুরুল হায়দার জনি। জনি হাসপাতালের কোন স্টাফ নয়। তার ভাই হাসপাতালে চাকরি করে এই সুবাদে সে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কেবিনে ঘুরে বেড়ায়। যুবতী রোগী ও রোগীদের কম বয়সী আত্মীয়-স্বজন নারীদের বিভিন্নভাবে সে উদ্যোক্ত করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। গত ২০ শে জুলাই বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার একটি কেবিনে আসমা আক্তার (ছদ্মনাম) নামের রোগীর কেবিনে বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়ে জনি। কেবিনে গিয়ে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ওই নারীর পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে। এক পর্যায়ে এই নারীকে ধর্ষণ করার মত ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে। ধর্ষিতা নারী তাৎক্ষণিকভাবে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম নয়নের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। ওই নারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আবাসিক কর্মকর্তা ডাক্তার নয়ন চাটখিল থানার পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করে। চাটখিল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় পুলিশ জনিকে গ্রেপ্তার না করে চলে যায়। অভিযোগ জানা গেছে পুরো ঘটনাটি ধামাছামা দেওয়ার জন্য জনির পরিবার পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। এদিকে সাহাপুর ইউনিয়নের ভিকটিম নারীর পরিবারকে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ঘটনাটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ধর্ষণকারী জনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন তাদের পরিবারের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান হায়দার মেডিকেল হল এ ব্যবসা পরিচালনা করেন। এবং সেই সাথে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর প্রতিনিধি (দালাল) হবার সুবাদে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া আশা করেন।