ঢাকা ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
জুড়ীতে দলীয় বিভাজন সৃষ্টি‌ করছেন‌ যুবদল নেতা নিপার রেজা  তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে সাজুর মোটরসাইকেল শোডাউনে হতাশ নেতাকর্মীরা দর্শনায় বিএনপির জনসংযোগ ফের বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এনবিআরের কর পরিদর্শক সাইদুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ: কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে আইটিআইআইইউ তারেক রহমান প্রণীত ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নে সাইবার ফোর্সের মতবিনিময় সভা চাঁদপুরে সড়ক ও জনপথের ২১ কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : এস এ সিদ্দিক সাজু বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ

নগরীতে টুং টাং শব্দে মুখরিত কামারপাড়া, ছুরি-চাপাতির দাম চড়া

#

০৯ জুলাই, ২০২২,  2:17 PM

news image

প্রবীণ এই কামার বলেন, কোরবানির ঈদের জন্য দীর্ঘ ১১ মাস অপেক্ষায় থাকি। ঈদের আগে একমাস কাজের চাপে দম ফেলার অবকাশ থাকে না। আর মাত্র দুদিন বাকি। ফলে কাজ চলছে ভালোই, তবে আগের সেই চাপ নেই।


এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজশাহীর শিরোইল স্টেডিয়াম মার্কেটের ভাঙড়ি পট্টিতে ধারালো অস্ত্র তৈরি করতে আসা গোলাম রাব্বানী বলেন, সবকিছুর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। তাই নতুন তৈরি না করে পুরানো অস্ত্রে ধার করিয়ে নিচ্ছি।


দাম বৃদ্ধির বিষয়ে রনহাট কামারপল্লীর বাসুদেব কর্মকার বলেন, লোহা ও কয়লাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের দাম বেড়েছে। ফলে হাসুয়া, বটি, ছোড়া, চাপাতিসহ সবকিছুই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।


জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ১০০ টাকার ছুরি এখন ১৫০ টাকা, আর বড়গুলো ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৪০০ টাকার চাপাতির দাম বেড়ে হয়েছে ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা। এতে অনেক ক্রেতা এসে ফিরে যাচ্ছেন। তারপরও বেচাকেনা মোটামুটি হচ্ছে।


একই সুরে কথা বলেন রনহাট কামারপল্লীতে চাপাতি কিনতে আসা ভ্যানচালক আবদুল আজিজ। তিনি বলেন, সবকিছুরই দাম বেড়েছে। ছুরি-কাঁচিরও দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তাই দাম বাড়লেও জরুরি এ অস্ত্রটি মজবুত পেতে নতুন করেই তৈরি করে নিচ্ছি।


রাজশাহীর শিরোইল স্টেডিয়াম মার্কেটের ভাঙড়ি পট্টিতে ৩০ বছর ধরে কামার পেশায় জড়িত ভেলু কর্মকারের সঙ্গেও কথা হয়।


তিনি জানান, বছরের ১১ মাসে তাদের ব্যবসা হয় এক রকম; আর কোরবানির ঈদের আগের এক মাসে ব্যবসা হয় আরেক রকম। ঈদুল আজহা এলেই বেচাবিক্রি ও ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফলে কয়েকদিন ধরে বেশ কাজের চাপ বেড়েছে।


পাশেই কাজে মগ্ন লাল চাঁন কর্মকার নামে এ পট্টির অন্য আরেক কামার। তিনি বলেন, এখানে পুরোনো অস্ত্র ধার দেওয়া ছাড়াও অনেকেই নতুনভাবে তৈরি করে নিচ্ছেন। কেউ বা রেডিমেড কিনে নিচ্ছেন। তবে অস্ত্র ধার করানোর সংখ্যাই বেশি।


কয়েকজন কামারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত স্প্রিং ও কাঁচা লোহা ব্যবহার করে হাসুয়া, বটি, ছোড়া, চাপাতিসহ অন্যান্য ধারালো জিনিস তৈরি করা হয়। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি এসব ধারালো বস্তুর মান ভালো, দামও বেশি। আর কাঁচা লোহার তৈরি জিনিসগুলোর দাম তুলনামূলক কম।


লোহার মান ভেদে স্প্রিং লোহা ৬০০ টাকা, নরমাল ৩৫০ টাকা। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১৫০-২৫০, দা ২০০-৩৫০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরির দাম শুরু ৩৫০ থেকে, আর বঁটি ২৫০-৪৫০, চাপাতি ৫০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

logo সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান