তানোরে ক্ষনে ক্ষনে নৌকা ফুটোর চেষ্টা কারী রাব্বানী-মামুন দলের শীর্ষ পদে না রাখার দাবি
০২ জুন, ২০২২, 7:35 PM

০২ জুন, ২০২২, 7:35 PM

তানোরে ক্ষনে ক্ষনে নৌকা ফুটোর চেষ্টা কারী রাব্বানী-মামুন দলের শীর্ষ পদে না রাখার দাবি
রাজশাহীর তানোরে নিজেদের সার্থে ক্ষনে ক্ষনে নৌকা ফুটো করার চেষ্টায় ব্যাস্থ্য ছিলেন তানোর উপজেলা আ' লীগ সভাপতি গোরাম রাব্বানী তানোর উপজেলা আ' লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
২০০৯ সালে তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনেই তারা ক্ষনে ক্ষনে যার যখন সার্থের ব্যাঘাত ঘটেছে সে তখন নৌকা ফুটো করার চেষ্টা করেছেন।
এর মাঝে এমন কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি যে নির্বাচনে এই দুই নেতার কেউ না কেউ নৌকা ফুটোর চেষ্টা করেননি। সর্বশেষ গত ২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনেও এই দুই নেতা নৌকার বিপক্ষে প্রকাশ্য ছিলেন নির্বাচনী মাঠে।
প্রথম ২০০৯ সালে তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী তানোর উপজেলা আ' লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানীর বিপরীতে তানোর উপজেলা আ' লীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন চাকা প্রতীক নিয়ে ভোট করায় বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপির সমর্থীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমরান আলী মোল্লা।
সেই থেকে শুরু একে অপরকে পরাজিত করতে তারা বিদ্রোহ করে নৌকা ফুটো করার ব্যস্থ হয়ে পড়েন।
গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার দলীয় প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার বিপক্ষে হাতুড় প্রতিক নিয়ে তানোর উপজেলা আ' লীগ সভাপতি গোরাম রাব্বানী তার ছোট ভাই শরিফুলকে নির্বাচনে দাড় করিয়ে প্রকাশ্যে দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নৌকা ফুটোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পৌর নির্বাচনে গোরাম রাব্বানীর ডানহাত নামে ক্ষ্যত সাইদুর রহমানকে জগ প্রতিকে নির্বাচনে দাড় করিয়ে প্রকাশ্যে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন রাব্বানী সাথে ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গত পৌর নির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী দেয়ার পাশাপাশি পাঁচন্দর ইউপিতে রাব্বানী তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত ওই শরিফুলকে দাড় করিয়ে নৌকা ফুটো করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
তৃনমুল নেতা কর্মিরা বলছেন, রাব্বানী - মামুন তাদের নিজের সার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে সংসদ ফারুক চৌধুরীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেন। তারা দুইজন দলের শীর্ষপদ পদবি ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছানোর পাশাপাশি দলের মধ্যে বিশৃংখলার সৃষ্টি করেছেন।
আগামী ১৬ জুনের আ' লীগের সম্মেলনে তাদেরকে দলের পদ পদবিতে না রাখার জোর দাবি জানিয়ে নেতাকর্মি সমর্থকরা বলেন, দলের দুর্দীনে যারা নেতাকর্মিদের পাশে থেকেছেন তাদেরকে দলের এই শীর্ষ পদে রাকার দাবি তুলেছেন।
তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপি আ' লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী ফরহাদ বলেন, যারা প্রকৃত পক্ষে আ' লীগকে বা নৌকাকে ভালোবাসবে তারা কখনোই কোন অবস্থাতেই নৌকার বিরধীতা করবেনা এবং নেত্রী যাকেই নৌকা দিবে শত বাধাতেও তারা নৌকার পক্ষেই থাকবে।
তিনি বলেন, দলের শীর্ষ পদপদবি ব্যবহারকারী রাব্বানী - মামুন যদি প্রকৃতই আ' লীগকে ভালো বাসতেন তাহলে কোন অবস্থাতেই নৌকার বিপক্ষে না গিয়ে নেত্রীর আদেশ নির্দেশ মেনে নিয়ে তাদের পক্ষেই ভোট করতেন।
অপর দিকে তারা জাতীয় ও দলীয় কোন ধরনের কর্মসুচীতেও থাকেন না বা তারা নিজেরাও আলাদা ভাবেও কোন কর্মসুচী পালন করেননি। ফলে, দলীয় নেতা-কর্মিদের মধ্যে তাদের দুইজনকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু তারা সেটা না করে প্রতিটি নির্বাচনেই নেত্রীর নির্দেশ আদেশ অমান্য করে প্রতিটি নির্বাচনেই নৌকা ফুটো করতে প্রকাশ্যে প্রার্থী দিয়ে নৌকা ফুটো করতে মাঠে ছিলেন। তিনি বলেন, নৌকা ফুটো কারী রাব্বানী - মামুনকে দলে না রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তানোর উপজেলা আ' লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও তানোর উপজেলা আ' লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের মোবাইলে একাধীকবার ফোন দেয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।