নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা হতাশায় ভুগছেন
২৩ মে, ২০২২, 6:22 PM

২৩ মে, ২০২২, 6:22 PM

নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা হতাশায় ভুগছেন
জাতীয় ও স্হানীয় পর্যায়ের সকল ধরনের নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান এবং রাজশাহী -১ (তানোর গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারিরা হতাশায় ভুগছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন তার জ্বলন্ত প্রমান।
যারা নৌকা এবং এমপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল তারা পদ পদবি থেকে ছিটকে পড়েছেন। এজন্য তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক বিদ্রোহীদের মদদ দাতা হিসেবে ইতিপূর্বেই চিহ্নিত। তারা চরম আতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছেন। কারন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৬ জুন। ফলে নিজের পথ ধরে রাখতে রাতের আধারে ছুটছেন এমপির দোয়ারে দোয়ারে ঘুরছেন বিভিন্ন নেতার দ্বারে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। যাকে পদ আগলে রাখতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, চলতি মাসের ১৮ মে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে নতুন মুখ পৌর মেয়র অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস নির্বাচিত হয়েছেন। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রশিদ। অথচ সম্মেলনের আগে উপজেলার নেতৃত্ব নিয়ে এমপির বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা বলি উড়ানো হয়েছিল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিরা যখন নির্বাচিত হলেন, তখন মুখ মলিন হয়ে পড়ল ষড়যন্ত্রকারীদের। তারাও সম্মেলনকে বিতর্কিত করতে নানা ভাবে প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে ব্যর্থ হয়ে হতাশা গ্রাস করেছে তাদেরকে।
আট বছরের অপেক্ষা। একগুয়েমি হয়ে পড়েছে নেতৃত্ব। তৃনমূল নেতাকর্মীরাও আস্হা হারিয়ে ফেলেছেন। একটানা আট বছরের বেশি সময় পদে থেকে কখনো নিজের ভাইকে বিদ্রোহী, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান, আবার কখনো মূল ধারার বিপরীতে। কাউন্সিলের ঘোষণা আসার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। কারন ঘুনে ধরা কমিটির শীর্ষ নেতারা তৃণমূলের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়েছে। কয়েকবার দিন তারিখ ধার্য হলেও রহস্যজনক কারনে সম্মেলন স্থগিত হয়ে পড়ে। বারবার হতাশ হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। আবার সম্মেলন হওয়ার আগেই স্হানীয় সাংসদ কে বিতর্কিত করতে নানা ধরনের প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে নিজেরাই এখন অন্ধকার দেখা শুরু করেছেন।
যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন অমাবশ্যা দেখছেন তারা। অথচ সকল ধরনের রিপোর্টের ভিত্তিতে নতুন নেতৃত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন সিনিয়র নেতারা। আর একাজ করছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে অনেকে জানান। এখানে কারো কিছুই করার নাই। আর ষড়যন্ত্রকারীরা দিবাস্বপ্নের মত দলের ভিতরে ভাঙ্গনে মরিয়া। সাংসদের বিরোধিতা করতে গিয়ে আজ নিজেরাই অস্তিত্ব সঙ্কটে।
তৃনমূলের মূলধারার বিজয় হয়েছে গোদাগাড়ীতে এবং তানোরেও এমনটাই হবে বলে মনে করছেন রাজশাহীর-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রবীন ত্যাগী নেতারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ জুন। সম্মেলন ঘিরে চলছে জোর আলোচনা। কপাল পুড়তে যাচ্ছে বিদ্রোহীদের মদদ দাতাদের। কারন দলের সভাপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যারা জাতীয় ও স্হানীয় নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহ করেছেন তারা কোন পদে আসতে পারবে না। এতালিকায় রয়েছেন বর্তমান সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং তাদের অনুসারীরা। তারা প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চরম বিতর্কে। সুতরাং নিশ্চিত তাদের পদ হারাচ্ছে বলে মনে করেন তৃনমূল থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতারা। শুধু তারাই না রয়েছে তাদের অনুসারীরাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু সিনিয়র নেতারা জানান, দলের মূলধারার সাথে বেঈমানী করলে তার ফল ভোগ করতেই হবে। রাব্বানী মামুনের পদে থাকার কোন যোগ্যতা নাই। কারন তারা সব সময় নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করাতে গিয়ে নিজেরাই ধরাশয়ী হয়েছেন।
আরেক নেতা জানান, তারা মনে করেছিল গোদাগাড়ী সম্মেলনে এমপি ও নৌকা বিরোধীরা পদ পদবি পাবে। কিন্তু এমন কমিটি হল কারো কোন প্রশ্ন করার সুযোগ পর্যন্ত নাই। এটাই ফারুক চৌধুরী, এটাই মূলধারা। এমপির বিরুদ্ধে কত না মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে, এমনকি মাদকের সম্রাট রাজাকার পুত্র সহ নানান কিছু। ওই সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এমপি জোর গলায় বলেছিলেন চক্রান্তকারীদের সাথে আপোষ করে রাজনীতি করতে হবে, আমার দ্বারা সেটা সম্ভব না। তিনি অনুরোধ করে বলেছিলেন আমাকে এবিষয়ে না বলাই ভালো। ওই অনুরোধের ছবি দিয়ে কত না মিথ্যা বানোয়াট গল্প রচনা করেছিল। কিন্তু আজ কে কার কাছে হাত জোড় করেছে তা সবাই জানছে, বুঝছে, দেখছে। ওস্তাদের মার শেষ রাতে।
চান্দুড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মজিবর রহমান জানান, বর্তমান সভাপতি রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক মামুনরা প্রতিটি জায়গায় দলের মধ্যে গ্রুপিং লবিংয়ের মূল হোতা। দলে বিভক্তের মূলেই তারা। বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় স্হানীয় প্রতিটি নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তাদেরকে আগেই সম্মানের সহিত পদ থেকে বিদায় নেওয়া উচিত ছিল। তারা আবার পদে আসবেন কিভাবে এমন স্বপ্ন দেখেন।
বাধাইড় ইউপির চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান জানান, গত ইউপি ভোটে রাব্বানী তার ভাগ্নেকে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নামিয়েছিল। শুধু মাত্র নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে এবং বিএনপির প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষে দলের সাথে এমন বেঈমানী করেছেন। অথচ তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এর আগে চলতি বছরের গত ২১ মার্চ সম্মেলনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কোন কারনে স্হগিত হয়ে যাওয়ায় তাদের অনুসারীরা মেতে উঠে, ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া শুরু করেন পুনরায় দায়িত্ব পেতে।