সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় চন্দপা হাওর গত কয়েক দিনের প্রচন্ড বৃষ্টির ডুবরা পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় এক হাজার একর বোরো জমির পাকা ধান। রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চন্দপার হাওরে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ফসল তলিয়ে যাওয়ায় সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার, মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, কাঠইর ইউপি-চেয়ারম্যান মুফতি সামছুল হক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  জাহিদুল ইসলাম পরিদর্শন করেছেন। রোববার সরেজমিনে গেলে স্থানীয় কৃষকরা জানান, চন্দপার হাওরে এখনো ৯৫% পাকা জমির ধান কাটার বাকি রয়েছে। অনেকে ধান কেটে জমিতেই ফেলে এসেছে। বিভিন্ন গ্রামের নারী পুরুষরা ছুটে যাচ্ছেন হাওরে। অনেকেই পাকা ধান কাটতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। কৃষক মাও. জুনাইদ আহমদ বলেন, আমার ১৪ কেয়ার জমির ধান কাটার বাকি রয়েছে। হাওরের ডুবরা জমানো পানি যদি তাৎক্ষণিক নিষ্কাশন করে না ছাড়া হয় তাহলে পাকা ধানের আশা ছেড়ে দিতে হবে। অন্তত এক থেকে দেড় ফুট পানি কমলে ধান কাটা যাবে। ইউএনও স্যার সরেজমিন হাওর দেখে কৃষি কর্মকর্তাকে বলেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে ডুবরা পানি নিরসনের ব্যবস্থা করে ফসল রক্ষা করার জন্য। সাবেক ইউপি-সদস্য কৃষক মালদার আলী বলেন, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে আমাদের হাওরে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ১-২ দিনের মধ্যে যদি জমানো ডুবরা পানি নিষ্কাশন করা না যায় তাহলে আমাদের হাওরের প্রায় এক হাজার একর বোর জমির পাকা ধান শতভাগ তলিয়ে যাবে। এ বিষয়ে নিবার্হী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার জানান, কৃষি বিভাগ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ফসল রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।