ঢাকা ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
জুড়ীতে দলীয় বিভাজন সৃষ্টি‌ করছেন‌ যুবদল নেতা নিপার রেজা  তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে সাজুর মোটরসাইকেল শোডাউনে হতাশ নেতাকর্মীরা দর্শনায় বিএনপির জনসংযোগ ফের বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এনবিআরের কর পরিদর্শক সাইদুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ: কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে আইটিআইআইইউ তারেক রহমান প্রণীত ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নে সাইবার ফোর্সের মতবিনিময় সভা চাঁদপুরে সড়ক ও জনপথের ২১ কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন : এস এ সিদ্দিক সাজু বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ

প্রচন্ড খরতাপে পুড়ছে তানোর

#

১৭ এপ্রিল, ২০২২,  2:25 PM

news image

জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের কারনে বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর তানোরে প্রচন্ড খরতাপে পুড়ছে খেটে খাওয়া জনসাধারণ থেকে শুরু হয়ে নিম্ম ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী। সকাল থেকে ইফতার পর্যন্ত চলছে টানা খরতাপ। কোনভাবেই জনসাধারণ দুপুরের দিকে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের জনসাধারণ।


চার্জার ভ্যান চালক খলিল জানান, সেহেরি খাওয়ার পর থেকে সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত রাস্তায় থাকা যাচ্ছে। তারপর বিকেলে মন না চাইলেও জীবিকার তাগিদে বের হলেও তেমন লোকজন থাকেনা। সবার ইফতারের জন্য নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান। গত চারদিক ধরে এতই খরতাপ দুপুর ১২ টার দিক থেকে মনে হয় রাস্তায় ভ্যান নিয়ে টিকাই যায় না। চরম রোদের তাপ চোখ মুখ জলে যায়। রোজা থাকা শরীর পিপাসায় কাতর হয়ে পড়ি।


বিল কুমারী বিলের বোরো ধান চাষিরা, প্রচন্ড খরতাপ হলেও নিরাস না, কারন অপ্ল কয়েক দিনের মধ্যে সোনালী ফসল আসবে ঘরে। আর ধান পাকাই রোদের যেন তীক্ষ্ণতা ছড়িয়ে পড়েছে। তারা আশায় বুকও বেঁধেছেন। এসময় যদি বৃষ্টি হয় তাহলে কৃষকের দূর্দশার শেষ থাকবে না। এজন্য কৃষকরাও চাচ্ছেন ধান কাটা মাড়াশ পর্যন্ত যেন মহান আল্লাহ কোন ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়া না দেয়।


তানোর পৌর সদরের তরুন কৃষক সারোয়ার হোসেন জানান, বিলে আড়াই বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছিলাম। প্রতিটি ধান গাছে সোনালী শীষে ভরে গেছে। সোনালী শীষের চেহারা দেখে মন জুড়ে যাচ্ছে। খুব বেশি হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কাটা পড়বে। সব কিছু ঠিক থাকলে ফলন ভালোই হবে বলে বশা করছি।


আরেক তরুন চাষী মাসুদ জানান, পৌর ভবনের নিচে দেড় বিঘা, আর উপরে মোস্তফার মটরে আঠারো কাঠা। বিলের জমিতে আগে কাটা পড়বে। কিন্তু আবহাওয়া তালমাতাল হলে চাষিদেরও অবস্থা বেগতিক হয়ে পড়বে।


অবশ্য গত দু এক দিনের মধ্যে সবচেয়ে খরতার বেশি ছিল শুক্রবারে। রোদের এতই তীক্ষ্ণতা ছিল বাড়ি থেকে বের হওয়ার কষ্ট কর ব্যাপার। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হন নি অনেকেই।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েব সাইডে দেখা,  শুক্রবারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাত্রি নয়টার দিকে নেমে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়।


ব্যবসায়ীরা জানান, শুক্রবার তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া হাটের দিন। এইদিক তাপমাত্রা ছিল কল্পনাতীত। দোকান করার সমস্যা আবার হাটে আসা ক্রেতাদের সাথে কথা বলা গরমে শরীর নাজেহাল হয়ে পড়তে হচ্ছে।


একাধিক গৃহিণীরা জানান, রান্নার ঘরে যেতেই মন চায় না।কিন্তু উপায় নাই রান্না করতেই হবে। সবচেয়ে কষ্ট হয় ইফতারের আগে রান্নার কাজ। আর আজ শুক্রবার খুবই তাপ গরম লাগছিল।


সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবারে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও সপ্তাহ জুড়েই থাকবে এমন তাপমাত্রা।  তবে দুএক ডিগ্রি কমে আসবে বলেও ওয়েব সাইডে দেখা যায়।

logo সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান