যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাসিলিয়ায় ৫১ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্রথম পর্যায় উদযাপন
২৭ মার্চ, ২০২২, 11:38 PM

২৭ মার্চ, ২০২২, 11:38 PM

যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাসিলিয়ায় ৫১ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্রথম পর্যায় উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাসিলিয়ায় ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার, বাংলাদেশের ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্রথম পর্যায় উদযাপন করা হয়েছে। দুতাবাস প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মূলত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখক প্রবাসী বাংলাদেশীরা ছাড়াও দূতাবাস পরিবারের সকলে উপস্থিত ছিলেন। খবর বাপসনিউজ।
সকাল দশটায় জাতীয় সঙ্গীতের সাথে মান্যবর রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সূচিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা উপস্থিত সকলকে সাথে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, ১৫ আগষ্টে নির্মম হত্যাকান্ডে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের ক্রমঅগ্রসরমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অব্যাহত অগ্রযাত্রা কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
আলোচনা পর্বে তাঁর বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা স্বাধীন দেশের নাগরিক হবার জন্য গর্ববোধ করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেবার জন্য বঙ্গবন্ধুকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্তের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রমগ্রসরমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য উপস্থিত বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রবাসী প্রত্যেক বাংলাদেশী বাংলাদেশের একেক জন রাষ্ট্রদূত- এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি প্রত্যেককে দেশের সুনাম রক্ষার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। দূতাবাসের কন্স্যুলার সেবার মানোন্নয়নের পাশাপাশি প্রাবাসী এবং অভিবাসী বাংলাদেশীদের যেকোন প্রয়োজনে দূতাবাস পাশে থাকবে বলে তিনি জানান। ০৪. বাংলাদেশের ক্রম অগ্রসরমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশী নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ মার্চ, সোমবার, রাজধানী ব্রাসিলিয়ার পোর্তো ভিত্তোরিও মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের মূল অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়েছে। ২৮ তারিখের অভ্যর্থনায় ব্রাজিলে নিযুক্ত উল্লেখযোগ্য সংখক দেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও কূটনীতিক, ব্রাজিলে নিযুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের আবাসিক প্রতিনিধি, ব্রাজিলের বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।