কেমন হওয়া উচিৎ কর্মস্থলে আচরণ
১৪ মার্চ, ২০২২, 10:08 AM

১৪ মার্চ, ২০২২, 10:08 AM

কেমন হওয়া উচিৎ কর্মস্থলে আচরণ
কর্মক্ষেত্র মানেই পেশাদারিত্বের জায়গা, নিজেকে সঠিক রুপে প্রমাণ করার জায়গা। এখানে গা ভাসিয়ে দিয়ে চলার জায়গা নয়। আবার শুধু কাজের ক্ষেত্রে পারদর্শীতা থাকলেই চলবেনা জানতে হবে সঠিক আচরণবিধি এবং জানার সাথে সাথে মানতেও হবে। কেমন আচরণ কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করা উচিৎ জেনে নেওয়া যাক।
চাকুরীতে প্রবেশের পরপরই নিজ দায়িত্ব, কর্তব্য, অধিকার ও সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করা উচিৎ। কারণ আপনি যখন কোন অফিসে কর্মরত থাকবেন তখন আপনাকে সেই অফিসের মিয়ম কানুনগুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। আপনি চাইলেই আপনার খেয়াল খুশি মত কাজ করতে পারেন না।
অফিসে নম্র ও ভদ্র আচরণ প্রদর্শন করা খুবই জরুরী। কথা-বার্তা, হাঁটা-চলা,বসার মধ্যে পরিশীলতা ও সংযমবোধ বজায় রাখা দরকার। কারণ অফিসে ভিন্ন ভিন্ন জায়গার ভিন্ন ভিন্ন মানুষ থাকেন। সুতরাং সবার সাথে সবার ব্যবহারের মিল হবেনা সেটাই স্বাভাবিক। সুতরাং সবাই যদি একই রকম আচরণ করেন সেক্ষেত্রে দূরত্ব অনেকটা কমে যায়। কাজের গতি বাড়ে।
যে কোন কাজেই নীতি ও সততার প্রশ্নে নির্ভয়ে কাজ করা উচিৎ। কারণ এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। তাই নিজেকে সততার খাতিরে ন্যায়-নিষ্ঠাবান হওয়া জরুরী।
কর্মক্ষেত্রের অর্জন আসলে নির্ভর করে কথায় ও কাজে মিল থাকার উপর। আপনি কাউকে প্রতিশ্রুতি দিবেন কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে সেই কাজটি সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে করবেন না। তাহলে সেই কাজ গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। এমন কাজ কোন দিনই মূল্য পায় না।
কথায় আছে কাজই জীবনের প্রকৃত মুক্তি খুজে দেয়। তাই যে কোন কর্মক্ষেত্রেই সকল সময়ে প্রাণবন্ত ও হাসিখুশী থাকা উচিৎ। এতে করে কাজের প্রতি যেমন আগ্রহ বাড়ে তেমনি সহকর্মীদেও কাজের সহযোগীতা হয়ে থাকা।
কর্মক্ষেত্রে কারও উপকার পেলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিৎ। কারণ কর্মক্ষেত্রে সহযে উপকার পাওয়া যায় না। খুব অল্প সংখ্যক সহকর্মী পাওয়া যায় যারা আপনাকে সহযোগীতা বা উপকার করবে। তাছাড়াও যে কেউ যেকোন উপকার করলে তার কৃজ্ঞতা প্রকাশ করা উচ্চ আচরণের উদাহরণ।
কর্মক্ষেত্রে সবাইকে সমান চোখে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আচরণের অংশ। একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কেউ হয়তো বয়েসে বড় হলেও পদের দিক থেকে ছোটো। আবার কেউ বয়সের দিক থেকে ছোটো হলেও যোগ্যতার দিক থেকে বড়ো হওয়ায় বড়ো পদে কর্মরত থাকেন। তাই সবাইকে সমান চোখে বিচার করে সম্মান ও স্নেহ করা উচিৎ। এটা ঠিক যে, কখনো কখনো দায়িত্বের কারণে কাউকে শাসন করতে হয়, কখনো কখনো শাস্তিও দিতে হয়।
সর্বোপরি কর্মক্ষেত্রের আচরণ সবচেয়ে ভালো টা হওয়া উচিৎ। কারণ কাজের মাধ্যমেই আপনার জীবিকা, আপনার জীবনের মূল্যবান সময়গুলোও কর্মস্থলেই কাটে।