ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের হাড়হিম করা অভিযানে উদ্ধার সাত লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া শিশু
১২ মার্চ, ২০২২, 7:18 PM

১২ মার্চ, ২০২২, 7:18 PM

ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের হাড়হিম করা অভিযানে উদ্ধার সাত লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া শিশু
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো ছয় বছরের শিশু ছোট হাসান তার গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়তে যেতেন। কিন্তু এই দিন সন্ধ্যায় পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতে ফিরে যাবার সময় মগরাহাট পশ্চিমের কালিকাপোতা অঞ্চলে তালার কাছ থেকে ব্যাবসায়ী আব্দুল হান্নান সাহেবের ছয় বছরের ছোট ছেলে হাসান কে দুই মোটর সাইকেল নিয়ে তুলে নিয়ে যায়। ছোট হাসান বাড়িতে ফিরে না আসার কারণে বাড়ির লোকজন খুজতে বের হয়। কিন্তু বহুক্ষণ খোঁজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন হান্নান সাহেব। এমন সময় একটি মোবাইল ফোন আসে যে তার পুত্র কে অপহরণ করা হয়েছে এবং তার ছাড়াবার জন্য নগদ অর্থ হিসেবে সাত লক্ষ্য টাকা দিতে হবে। এবং পুলিশের খবর ও বেশি চালাকি করলে ছোট হাসান কে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। এই ফোন পাবার ছোট হাসান কে ফিরে পাবার জন্য পাগল হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের উস্হি থানার দক্ষ পুলিশ অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ শ্রী মিলটন রক্ষিত কে। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খবর পাঠান ডায়মন্ডহারবার এর দক্ষ পুলিশ অফিসার এস ডি পি ও শ্রী মিতুন কুমার দে কে। তিনি উস্হি থানা ও মগরাহাট থানার সার্কেল অফিসার শ্রী সুবির বাগ কে জানান এবং পুরো ঘটনা টি ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের সুপার শ্রী অভিজিৎ ব্যানার্জী আই পি এস কে জানান। ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গঠিত একটি টিম তৈরি করা হয়। যায় মধ্যে ছিল উস্হি থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী লিনটন রক্ষিত ও এক সাব ইন্সপেক্টর এবং ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের এস ডি পি ও শ্রী মিতুন কুমার দে এবং মগরাহাট থানার সার্কেল অফিসার শ্রী সুবীর বাগ কে নিয়ে গঠিত। শুরু হয় অভিযান, মোবাইল ফোনের লোকেশন থেকে জানা যায় যে জয়নগর ও ক্যানিং থানার অন্তর্গত মন্দির তলা থানা এলাকায় হাইডআউড তে ছোট হাসান কে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। খবর দেওয়া হয় লালবাজার কন্ট্রোল রুম ও সি আই ডি ভবনী ভবন কে। নেমে পড়ে ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের এস এস ও জি এবং এডিশনাল এস পি গ্রামীণ। শুরু হয় খানা তল্লাশি। তবে সদা সতর্ক সাথে এগিয়ে যেতে থাকে ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের এস ডি পি ও শ্রী মিতুন কুমার দে নেতৃত্বে গঠিত টিম। অবশেষে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে হয় অপহরণ কারীদের এবং জয়নগর ও ক্যানিং থানার সীমান্ত এলাকা কচুয়া থেকে ছোট ছয় বছরের হাসান কে উদ্ধার করা হয়। যখন হাসান কে উদ্ধার করা হয় তখন ওকে আগে থেকেই ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করে ঘুম পড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অপহরণ কারীদের সব চেষ্টা বিফল করে দেয় ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের সুপার শ্রী অভিজিৎ ব্যানার্জী আই পি এস, ডায়মন্ডহারবার এস ডি পি ও শ্রী মিতুন কুমার দে এবং মগরাহাট থানা ও উস্হি থানার সার্কেল অফিসার শ্রী সুবির বাঘ এবং উস্হি থানার দক্ষ পুলিশ অফিসার শ্রী লিটন রক্ষিত। তবে ছোট হাসান কে কাছে পেয়ে বাবা আব্দুল হান্নান ও মাতা কেদে ফেলেন। এই অপহরণ কান্ডের মুল নায়ক নাসিমা বেগম ও তার সাথীদের গ্রেফতার করেছে উস্হি থানার পুলিশ। এবং ধৃত ব্যক্তিদের ডায়মন্ডহারবার জেলা দায়রা আদালতে তোলা হবে এবং এই অপহরণ কারীদের সাথে কারা কারা যুক্ত ছিলেন তাদের কে বের করতে হবে।এই ঘটনার পর যে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের মানবিক মুখ দেখতে পেয়েছেন সাধারণ মানুষ তা বলার অপেক্ষা করে না।।