পশ্চিম বাংলার পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও সন্ত্রাস এবং ব্যাপক ভোট লুটপাট হয়েছে তার প্রতিবাদে আজ পশ্চিম বাংলার বিধান সভার অধিবেশনে তার প্রতিকার ও প্রতিবাদ করে হল্লা ও চিৎকার করতে থাকে পশ্চিম বাংলার বিরোধী দল বি জে পি। তারা রিতিমত অধিবেশন শুরু হবার সাথে সাথে ওয়ালে নেমে প্রতিবাদ করতে থাকে। পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ ধনকড়ের ভাষণ শুরু হতেই হইচই শুরু করে দেয় বিজেপি র সদস্যরা। তারা প্লাউড নিয়ে বিধান সভার অধ্যাপক শ্রী বিমান ব্যানার্জী চেয়ারের দিকে এগিয়ে যায়। তখন রাজ্যপালের ভাষণ শুনতে না পারাতে তিনি রেগে গিয়ে বিধান সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু পশ্চিম বাংলার দুই মন্ত্রী জনাব ফিরাদ ববি হাকিম ও শ্রী অরূপ বিশ্বাস তার গতিরোধ করেন। তার পর তুমুল হইচই শুরু হয়। এমন সময় পশ্চিম বাংলার বিরোধী দলের নেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী কে অনুরোধ করেন যে যাতে বিধান সভার কাজ শুরু করা যায়। কিন্তু বি জে পি র সদস্যরা অনড় থাকে। তাদের দাবি পশ্চিম বাংলার পৌরসভা র নির্বাচনে সন্ত্রাস চালিয়ে জোর করে পৌরসভা দখল করছে শাসক তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা। এর প্রতিকার চাই এবং সম্প্রতি পশ্চিম বাংলার হাওড়ার আমতা এলাকায় কলকাতা আলিয়া ইউনিভার্সিটি র প্রতিবাদী ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যুর তদন্ত সি বি আই কে দিয়ে করার দাবি জানাতে থাকেন এবং পশ্চিম বাংলার সন্ত্রাস ও আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করেন। এবং পশ্চিম বাংলার পুলিশ প্রশাসন শাসক তৃনমূল দলের দল দাসে পরিনত হয়েছে। তবে পরবর্তীতে সভার কাজ শুরু করে দেন পশ্চিম বাংলার বিধান সভার অধ্যাপক বিমান ব্যানার্জী। তিনি বলেন পশ্চিম বাংলার বিধান সভার রাজ্যপালের ভাষণ এর মধ্যে দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু করা হয়েছে। এবং বিধান সভার নথি তে তা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এবং বিধান সভার কাজ পরিচালনা করার জন্য পশ্চিম বাংলার বিধান সভার সব দলের সদস্যদের কাছে সহযোগীতা করার জন্য আবেদন করেন।