১৪১ দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে-বাংলাদেশসহ ৩৫ দেশ ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি
০৩ মার্চ, ২০২২, 11:41 AM

০৩ মার্চ, ২০২২, 11:41 AM

১৪১ দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে-বাংলাদেশসহ ৩৫ দেশ ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে ১৪১ সদস্য রাষ্ট্র। দীর্ঘ ৪০ বছর পর সংস্থাটিতে হলো জরুরি ও বিরল এ ভোটাভুটি। বুধবার (২ মার্চ) এ ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। খবর এবিসি নিউজের।
ইউক্রেন ভূখণ্ডে রাশিয়ার অভিযান বন্ধ এবং শিগগিরই সেনা প্রত্যাহারে নিজ-নিজ অবস্থান স্পষ্ট করে ১৪১ সদস্য রাষ্ট্র ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। বিপরীতে এই প্রস্তাবের ওপর রাশিয়াসহ মিত্র দেশ বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, উত্তর কোরিয়া ও সিরিয়া বিপক্ষে ভোট দেয়। এছাড়া শক্তিধর চীনসহ ৩৫টি দেশ ভোট দেয়নি। যে তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপস্থায়ী প্রতিনিধি জাতিসংঘ মহাসচিবকে উভয় পক্ষের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরুর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেন ছাড়তে আগ্রহীদের নিরাপদে ইউক্রেন থেকে বের হওয়ার সুযোগ দেওয়ার ও নির্বিঘ্নে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ শুরুর বেশ আগে থেকেই এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কূটনৈতিক তত্পরতা চলছে। এর প্রভাব ঢাকায়ও পড়েছে। দূতাবাসগুলো বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাদের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করছে। রাশিয়া দূতাবাস ইউক্রেনে তার ‘নিরাপত্তা ঝুঁকির’ বিষয়টি তুলে ধরেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও বিভিন্ন পশ্চিমা দূতাবাস রাশিয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে সরব রয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন আগেই বলেছেন, এ সংকটে বাংলাদেশ কারো পক্ষ নিতে চায় না। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীসহ সমমনা দেশগুলোর অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন—দুই দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক আছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউর সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কারো পক্ষে বা কারো বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘আমরা সব ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক, আমরা সেটাই চাই। ’
তিনি জানান, ক্ষুদ্র দেশ হিসেবে সব ধরনের যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক সংকট বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
১৯৮২ সালের পর ইউক্রেন সংকট ইস্যুতে জরুরি বৈঠক ডাকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ১৯৩ সদস্যের পরিষদ কূটনৈতিক উপায়ে রাশিয়াকে একঘরে করার চেষ্টা করছে। যাতে বাড়তি সমর্থন যোগালো এই ভোটাভুটি।