পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মতীথ প্রকল্পের দোকান ঘর স্বজন পোষণ করলেন মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়কের পরিবার
০২ মার্চ, ২০২২, 12:08 AM

০২ মার্চ, ২০২২, 12:08 AM

পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মতীথ প্রকল্পের দোকান ঘর স্বজন পোষণ করলেন মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়কের পরিবার
পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও তৃনমূল দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের গরীব ও মেহনতি মানুষের জন্য দোকান ঘরের প্রকল্প কর্মতীথ ঘোর সাধারণ গরীব লোকদের না দিয়ে তা নিজের পরিবারের মধ্যে দিয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের নেতা ও সাবেক পশ্চিম বাংলা সরকারের মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী এবং বর্তমানে মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন মগরাহাট পশ্চিমের বামফ্রন্টের থেকে শুরু করে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এবং পশ্চিম বাংলার বিরোধী দল বি জে পি নেতা ও কর্মীরা। তারা বলেন যে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া মগরাহাট পশ্চিমের অন্তর্গত সিরাকোল তিন রাস্তার মোড়ের ধারে যে জমি তে কর্মতীথ প্রকল্পের ঘর হয়েছে সেখানে গরীব সাধারণ মানুষের কে বঞ্চিত করে মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা এবং তার ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মুজিবুর রহমান মোল্লা ও আরেক জেলা পরিষদের সদস্য শ্রীমতী তন্দ্রা পুরকায়স্থ ও মগরাহাট পশ্চিমের সভাপতি শ্রীমতী নিলুফা বেগম এর আত্মীয়রা পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগ মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক এর ভায়ের বৌয়ের ছেলে মোস্তাক আহমেদ মোল্লা মাতা মগরাহাট পশ্চিমের সভাপতি শ্রীমতী নিলুফা বেগম ও মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা তার ছেলে আব্দুর রহমান মোল্লা ও মাতা হাফিজা বিবি এবং সামিমা মোল্লা স্বামী রাজেশ রহমান মোল্লা ইনি আবার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা র বৌমা। সেই সাথে আরেক জেলা পরিষদের সদস্য শ্রীমতী তন্দ্রা পুরকায়স্থ এর আত্মীয় সম্পর্কে তন্দ্রা পুরকায়স্থ জা সবিতা পুরকায়স্থ স্বামী মিন্টু পুরকায়স্থ রা এই কর্মতীথ প্রকল্পের ঘর পেয়েছে। এবং বঞ্চিত করা হয়েছে যাদের জন্য পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উন্নয়ন মূলক কর্মতীথ প্রকল্পের ঘর সেই গরীব মানুষরা। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়েছে মগরাহাট পশ্চিমের সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাদের দাবি পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের টাকা থেকে কাটমানি খাচ্ছেন তা কারও অজানা ছিল না। এমন কি মগরাহাট পশ্চিমের বহু তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা এই বিষয়টি ভালো চোখে দেখতেন না। তার মধ্যে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের কর্মতীথ প্রকল্পের ঘর তৈরি যদি সাধারণ গরীব লোকদের মধ্যে না দিয়ে মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্যরা আত্মশুদ্ধি করেন তাহলে সাধারণ গরীব মানুষ জন যাবেন কোথায়। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই মগরাহাট পশ্চিমের রাজনীতি তে সরগরম হয়ে উঠেছে। এই ঘটনার কথা জানা সত্ত্বেও মগরাহাট পশ্চিমের বি ডি ও সাবেক মুখে কুলুপ এটে বসে আছেন।