আজ ভারতের সাবেক দুই দশকের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ডক্টর মনমোহন সিংহ বলেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আদত হয়ে গেছে যে নিজের সরকার চালাতে ব্যর্থ হয়ে এবং দেশের মানুষের মধ্যে বেকারত্ব বাড়িয়ে দিয়ে দেশের মানুষের ঠকিয়ে দেশ টি রস তলে যাওয়ার রাস্তা করে দিয়ে শেষ হয়নি। তাই নিজের দোষ ঢাকতে আজ থেকে প্রায়, ৫৬,বছর, আগের ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী প্রায়ত জহরলাল নেহেরু কে দায়ী করছেন। কারণ হিসেবে নরেন্দ্র মোদী তুলে ধরেছেন দেশ ভাগ করতে জহরলাল নেহেরু নাকি সাহায্য করেছিল। এর উত্তরে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেন ভারতের ভাগ জহরলাল নেহেরু করেননি করে গিয়েছিলেন ব্রিটিশরা। অখণ্ড ভারত বর্ষকে রুখতে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে গুলি খেতে হয়েছিল বি জে পি র দলের জন্ম দাতা আর এস এস নেতা নাথুরাম গডসের গুলিতে। সেখান থেকে ভারতের সাম্প্রদায়িকতা রুখতে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের বলিদান দিয়ে গেছেন। অখণ্ড ভারত গড়তে এবং ঐক্যবদ্ধ ভারত কে গড়ে তুলতে ভারতের প্রায়ত প্রধান মন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীকে শহিদ হতে হয়েছিল। আজ পর্যন্ত কোন আর এস এস ও বি জে পি এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা দেশের জন্য জীবন দিয়ে গিয়েছে তা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেখাতে পারবেন না। আজ দেশকে দেউলিয়া ও বেকারত্ব নিরসনে উপায় বের না করে নিজের দোষ ঢাকতে সাবেক ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু র উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন। আজ সারা দেশে কোটি মানুষ বেকারত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর ওনি দেশের সম্পদ কে লুটিয়ে দিয়ে বিদেশে ঘুরে বেড়িয়ে আসছেন। ভারতের সাথে চীনের ঝামেলার জন্য দায়ী করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে। কারণ বি জে পি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চীনে গিয়ে চীনের প্রধানমন্ত্রী ও সেদেশের প্রেসিডেন্ট র সাথে দোলনা চড়ে বেড়িয়েছেন। আর সেই চীন ভারতের উপর আক্রমণ করতে আসছেন। এর জন্য দায়ী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ ও কুটনৈতিক ভাবে দায়ী। দেশের বাজার মূল্য প্রতি দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তর উত্তর। সেদিক লক্ষ্য না করে নিজের দোষ ঢাকতে অন্যর উপর দোষ চাপিয়ে চলেছেন। নরেন্দ্র মোদির মতো ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী ভারতের বুকে আসেনি বলে মনে করেন। এই মন্তব্য পর এর প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন পাচ টি রাজ্যের বিধান সভার নির্বাচনে এমনটা মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।