ঢাকা ১১ আগস্ট, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
'দলীয় ক্ষমতার ছায়ায়' কুলাউড়ার ত্রাস উজ্জ্বল কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ার এর পরিবেশক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফ্যাসিস্ট সরকারের ধূসর আম্পানের প্রকল্প পরিচালক রফিকুল হাসান দুদুকে মামলা থাকা সত্ত্বেও এখনো বহাল তবিয়তে দুদকের মামলার পরেও রেলের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি অবৈধ উচ্ছেদের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আড়ৎ মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অবৈধ উচ্ছেদের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আড়ৎ মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ পতিত স্বৈরাচার সরকারের আমলের বিসিআইসির সার ডিলার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারলেই সার ব্যবস্থাপনা সঠিক গতি ফিরে আসবে অবৈধভাবে জমি লিজ দিয়ে কোটি টাকা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের পকেটে ফিরেছেন প্রসূনের বাবা, কোথায় ছিলেন বলছেন না বিআইডব্লিউটিএ-তে দুর্নীতি: প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

ডেসমন্ড টুটু ছিলেন আমাদের নৈতিক কম্পাস ও জাতির বিবেক-অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় চিরবিদায়

#

০২ জানুয়ারি, ২০২২,  1:11 PM

news image

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ অবসান আন্দোলনের অন্যতম নেতা আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার কেপটাউনের অ্যাংলিকান গির্জায় শান্তিতে নোবেলজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার এই নেতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।


সংখ্যালঘু শেতাঙ্গ শাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো প্রবীণ লড়াকু, বর্ণবাদ অবসান আন্দোলনের সম্মুখসারির সৈনিক, অনুপ্রেরণামূলক বার্তা আর নাগরিক-মানবাধিকারের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত শান্তিতে নোবেলজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু গত রোববার মারা যান।দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা টুটুকে ‘আমাদের নতুন জাতির আধ্যাত্মিক পিতা’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। মৃত্যুর আগে টুটু বলে গিয়েছিলেন, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যয় বেশি উচিত নয়। সবচেয়ে সস্তায় পাওয়া কফিনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।


শনিবার তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রালে জড়ো হয়েছিলেন পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব, পাদরি এবং রাজনীতিবিদরা। যদিও করোনাভাইরাস বিধি-নিষেধের কারণে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ সীমিত করা হয়েছিল। টুটুর স্ত্রী নোমালিজো লেহ বেগুনি শাল পরে কফিনের সামনে একটি হুইলচেয়ারে বসে ছিলেন। 


বিশ্ববিখ্যাত বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার সমসাময়িক ছিলেন ডেসমন্ড টুটু। ১৯৪৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দেশটিতে যে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন চলেছে, তাতে অন্যতম চালকের আসনে ছিলেন তিনি। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে শান্তির নোবেল পুরস্কারও পান এই ধর্মযাজক।


চলতি বছরের অক্টোবর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ডেসমন্ড টুটুর। তখন থেকেই হুইল চেয়ারে চলাচল শুরু করেন তিনি।১৯৬০ সালে ধর্মযাজক হিসেবে স্বীকৃতি পান ডেসমন্ড টুটু। ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশ লেসোথোর যাজক (বিশপ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারপর জোহানেসবার্গে ফিরে আসেন তিনি। ১৯৮৫ সালে উচ্চতর যাজক (আর্চবিশপ) পদ লাভ করেন ডেসমন্ড টুটু। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আর্চবিশপ।


১৯৯৪ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দেশটিতে শেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে সুসম্পর্ক জোরদার করতে যে ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করেছিলেন, তার প্রধান ছিলেন ডেসমন্ড টুটু।


টুটুকে ‘আইকনিক আধ্যাত্মিক নেতা, বর্ণবাদবিরোধী কর্মী ও বৈশ্বিক মানবাধিকার আন্দোলনের সৈনিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা বলেন, ‘তিনি এমন এক দেশপ্রেমিক ছিলেন, যার সমতুল্য কেউ নন; ছিলেন নীতি ও বাস্তবিক পরিস্থিতির সমন্বয়কারী এক নেতা, যিনি বাইবেলের গূঢ়কথার অর্থ হাজির করেছিলেন এই বলে যে, কর্ম ছাড়া বিশ্বাস মৃত।’

logo সম্পাদক- মোঃ সাজেদুর রহমান